প্রথম পর্ব: ১৯৭৮ থেকে ২০০৪ — জন্ম, সংগ্রাম আর সম্ভাবনার গল্প
🔹 ১৯৭৮ সাল—বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ইতিহাসের প্রথম সোনালী অধ্যায় রচনা করে রিয়াজ গার্মেন্টস, যারা ফ্রান্সে ১০,০০০ পিস শার্ট রপ্তানি করে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সূচনা করে।
🔹 তখনও দেশে রপ্তানি-ভিত্তিক শিল্পের ধারণা অপরিচিত ছিল। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার Daewoo Corporation, তাদের নিজ দেশে রপ্তানিতে কোটা সংকট (MFA ও IMF চাপ) কাটাতে Desh Garments এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেন। দেশ প্রেমিক মানুষটি বীর মুক্তিযোদ্ধা জানাব নুরুল কাদের দেশ গার্মেন্ট নিয়ে ১৯৭৭/ ১৯৭৮ থেকেই তিনি এ শিল্পকে এক নতুন পথ দেখিয়ে ছিলেন তৈরি করেন। এ আধুনিক গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ।
🔹 ১৯৭৯-১৯৮০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৩০ জন বাংলাদেশিকে গার্মেন্টস বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখান থেকে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের গার্মেন্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকগণ।
🔹 ১৯৮০–৮৯ দশকে উদ্যোক্তারা গার্মেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ শুরু করেন। কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার খুলে যায়।
জুয়েল গার্মেন্টস, প্যারিস গার্মেন্টস ও বন্ড গার্মেন্টসের , এরোকসট গার্মেন্ট, কন্টিনেন্টাল, আরো অনেক যাদের কথা ভুলে গেলে হবেনা । ১৯৭৮ থেকেই গার্মেন্টস তারা এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন
কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছিল বহু:
দক্ষ শ্রমিক ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব
শিশুশ্রম ব্যাপক হারে ব্যবহৃত
এলসি, ব্যাংকিং ও কাস্টমস সংক্রান্ত জটিলতা
🔹 ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবিত Harkin Bill বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা দেয়। কারণ, এতে বলা হয়েছিল শিশু শ্রমিক ব্যবহৃত হলে সে দেশের পোশাক আমদানি বন্ধ করা হবে।
ফলে, UNICEF, ILO ও BGMEA-এর মাধ্যমে প্রায় ৫০,০০০ শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন করা হয়।
চলবে
মোঃ সালাউদ্দিন
এডভাইজার
Textile And Garments Merchandising
MD Sala Uddin
Bunon Bee
